ট্রেনে ঢাকা ও কলকাতায় যাতায়াতে মাঝপথে নামতে হত এত দিন। সেটা গেদে হোক বা দর্শনা। মালপত্র-সহ ট্রেন থেকে নেমে যেতে হত অভিবাসন ও শুল্ক সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য। এতে মালপত্র বহনের কষ্টের পাশাপাশি প্রায় দুই-তিনঘন্টা সময় নষ্ট হতো। যার ফলে ট্রেন ভ্রমণে অনেকেই আগ্রহী নয়। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের আর এই কষ্ট পোহাতে হবে না। কলকাতা ও ঢাকা স্টেশনেই এই কাজ সেরে ফেলা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ঠিক এমনটাই হয়। বিমানে ওঠার আগে এবং বিমান থেকে নামার পরেই অভিবাসন ও শুল্ক সংক্রান্ত পরীক্ষা হয়। কিন্তু, এত দিন ট্রেনপথে সেই সুবিধা মিলত না। ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘এন্ড টু এন্ড কাস্টমস এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস’ আজ শুক্রবার থেকে চালু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে এই সার্ভিস পরিদর্শনে যান রেল মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। পরিদর্শনকালে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় রেলখাত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রেন ছাড়ার প্রান্ত এবং শেষে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন কার্যাদি সম্পন্ন হচ্ছে। এতে করে যাত্রার সময় ২ ঘন্টা কম লাগবে। যাত্রীদের হয়রানিও কমে যাবে’ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা পহেলা বৈশাখের দিন থেকে এই ট্রেন পরিসেবা চালু করা হয়। ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন হিসেবে বাংলাদেশের সীমার মধ্যে বাংলাদেশের বগি ও ইঞ্জিন ও ভারতের সীমায় ভারতের বগি ও ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এর ফলে যাত্রীদের সীমান্তে ট্রেন পরিবর্তন করতে হয়। মৈত্রী ট্রেন বর্তমানে সপ্তাহে ৬ দিন ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এন্ড টু এন্ড ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস সার্ভিস’ চালুর প্রথম দিনেই ট্রেনের ৪৫৬ টি আসনের সবগুলোই বিক্রি হয়েছে।