সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ওএমএস চালু এবং প্রশাসনের নিয়মিত বাজার নজরদারিতে নওগাঁয় চালের দাম মণ প্রতি একশ' ৫০ টাকা কমেছে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হওয়া ওএমএস'র চাল বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন ডিলাররা। এতে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ২-৩ টাকা করে চালের দাম কমেছে। জেলা প্রশাসন বলছে, চালের দাম সহনীয় করতে মজুদ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এক সপ্তাহ আগে সব ধরণের চালের দাম কেজি প্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়ে যায় নওগাঁর পাইকারি বাজারে। এতে চরম বিপাকে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় চালের দাম কমাতে জেলা প্রশাসনের মজুদ বিরোধী অভিযান আর ওএমএস চালু হওয়ায় নওগাঁয় মোটা চাল মণ প্রতি ২০০ টাকা এবং চিকন চাল ১৫০ টাকা কমেছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
নওগাঁ পৌর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন প্রতি কেজি চাল ২-৩ টাকা কমেছে। পারিজা চাল প্রতি কেজি ৪৪-৪৫ টাকা, আঠাশ ৫৩-৫৪ টাকা, জিরাশাইল ৫৮ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, হাইব্রিড ৩৬-৩৭ টাকা এবং এলসি ৪৭-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম বাড়ায় ক্রেতা কমে যায় তবে দাম কমায় আবার ক্রেতা ফিরছে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সরকারের সাথে বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা বাজারে চাল সরবরাহ বৃদ্ধি করায় দাম কমতে শুরু করেছে।
নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধান ও চালের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকার পক্ষ থেকে যা যা করা যায় তা যেন সরকার করে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. মো: আমিনুর রহমান জানান, নওগাঁয় বেশ কয়েকটি মিলে চালের মজুদ বিরোধী অভিযান চালানো হয়। চালের বাজার সহনীয় করতে বাজার মনিটরিং জোরদারসহ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
জেলা খাদ্য বিভাগ ১১টি উপজেলায় ৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩৫ মেট্রিক টন করে সিদ্ধ চাল বাজারে বিক্রি করছে।