বাংলাদেশের পপ সঙ্গীতের সম্রাট আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।মুক্তিযোদ্ধা আজম খান ২০১১ সালের ৫ জুন চলে যান না ফেরার দেশে। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। আজম খানের পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীত প্রচার করেন। সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাবা আফতাব উদ্দিন খানের অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।তখন আমার বয়স ২১ বছর। দুই নম্বর সেক্টরে খালেদ মোশাররফের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। দেশ স্বাধীন করে বীরের বেশে ঘরে ফিরে গানের জগতে প্রবেশ করেন।নিজে গান লেখেন। নিজেই সুর করেন, নিজেই কন্ঠ দিয়েছেন।১৯৭২ সালে লাকি আখান্দ ও হ্যাপি আখান্দ এই দুই ভাইকে নিয়ে ‘উচ্চারণ’ নামের ব্যান্ড গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে পপসংগীতের পথে তার যাত্রা শুরু হয়। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওরে সালেকা ওরে মালেকা, রেললাইনের ওই বস্তিতে, আসি আসি বলে তুমি আর এলে না, আলাল ও দুলাল, হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে, হাইকোর্টের মাজারে, জীবনে কিছু পাব না, পাপড়ি কেন বোঝে না, সাঁইজি, সব মানুষই সাদা-কালো, এমনি চলে যাব।