অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি পাকিস্তানের। কিন্তু শেষটা হয়েছে আশা জাগানিয়া।
আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত রেকর্ড গড়ে জিততে ব্যর্থ হয়েছে মিসবাহ-উল-হকের দল। রেকর্ড ৪৯০ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা অলআউট হয়েছে ৪৫০ রানে। তাতে প্রথম টেস্টে ৩৯ রানের দারুণ এক জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রোববার ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করে পাকিস্তান। আসাদ শফিক ১০০ ও তার সঙ্গে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির শাহ। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট। আর পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১০৮ রান। এই সমীকরণ নিয়ে সোমবার ব্রিসবেনে মাঠে নামে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।
শুরু থেকেই বেশ সাবলীলভাবে ব্যাট করছিলেন আসাদ শফিক ও ইয়াসির শাহ। রানও আসছিল বেশ। দলীয় ৪৪১ রানের মাথায় হাজলেউডের বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। স্ট্রাইকে ছিলেন ইয়াসির শাহ। তিনি রিভিউ নেন। তাতে অবশ্য বেঁচেও যান।
আসাদ শফিক সোমবার সকাল থেকে একটিও ভুল শট খেলেননি। কিন্তু ১৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে একটি ভুল করে বসেন। মিশেল স্টার্কের বাউন্সারের মতো দেওয়া বল আসাদ শফিক খেলবেন কী খেলবেন না দ্বিধায় ছিলেন।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ১৪৫ কিলোমিটার বেগে আসা বলটি আসাদের ব্যাট ছুঁয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে জমা পড়ে। দলীয় রান তখন ৪৪৯। ওই ওভারের ষষ্ঠ বলে রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন ইয়াসির শাহও। স্টিভেন স্মিথের নেওয়া থ্রো সরাসরি স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। তাতে জয়োল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম।
প্রথম টেস্টের শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ানো আসাদ শফিক ও ইয়াসির শাহকে আউট করে ৩৯ রানের দারুণ এক জয় তুলে নেয় অসিরা। আসাদ ১৩৭ রান করে আউট হন। ইয়াসির শাহ আউট হন ৩৩ রান করে।
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন পাকিস্তানের আসাদ শফিক।
।। সংক্ষিপ্ত স্কোর ।।
অস্ট্রেলিয়া-
প্রথম ইনিংস : ৪২৯/১০ (স্মিথ ১৩০, পিটার ১০৫; আমির ৪/৯৭, ওয়াহাব ৪/৮৯)।
দ্বিতীয় ইনিংস : ২০২/৫ ডিক্লে. (খাজা ৭৪, স্মিথ ৬৩; রাহাত ২/৪০)।
পাকিস্তান-
প্রথম ইনিংস : ১৪২/১০ (সরফরাজ ৫৯*, আমির ২১; হাজলেউড ৩/২২, বার্ড ৩/২৩ )।
দ্বিতীয় ইনিংস : ৪৫০/১০ (আসাদ ১৩৭, আজহার ৭১; স্টার্ক ৪/১১৯, বার্ড ৩/১১০)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : আসাদ শফিক (পাকিস্তান)
সিরিজ : অস্ট্রেলিয়া ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।