কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে চান আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না—প্রধানমন্ত্রীর বরাতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছেন সাধারণ অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃস্থানীয় দুজন।
এক প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান জানান, তাঁরা কোটা তুলে দেওয়া হোক চাননি, সংস্কার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ঘোষণা চেয়েছেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, ‘কোটা থাকবে না, তা আমরা চাই না। আমরা সংস্কার চাই। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। কোটার দরকার আছে। সবার কথা বিবেচনা করে সেটার একটি সহনীয় পর্যায়ে সংস্কার চাই।’ তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বক্তব্য চান তাঁরা।
পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদও বলেন, কোটা সংস্কারের যে পাঁচ দফা দাবি করা হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে এ বিষয়ে। এ আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সুচিকিৎসারও দাবি জানান তিনি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন তাঁদের ফেসবুকে পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, এখন থেকে সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না।
এই স্ট্যাটাসের বিষয়ে পরে সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস এম জাকির হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা উভয়েই বলেন, স্ট্যাটাসের তথ্য ঠিক। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে একই কথা জানান এই দুই ছাত্রনেতা।
এই দুই ছাত্রলীগ নেতার দাবি অবশ্য আর কোনো সূত্রের মাধ্যমে যাচাই করা যায়নি। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা নিয়ে সরকারি কোনো বক্তব্য তিনিই দেবেন। এর পরেই আজ ছাত্রলীগের দুই নেতা এ বক্তব্য দিলেন।
আজ প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেবেন বলে জানান দুই ছাত্রনেতা।
সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস এম জাকির হোসাইন জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে গণভবনে যান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দুপুর ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।