সহকর্মীদের ভালোবাসায় বিদায় জানানো হলো চলচ্চিত্রের প্রবীণ অভিনেতা নাজমুল হুদা বাচ্চুকে। আজ বুধবার বেলা তিনটায় তাঁকে বনানী কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়। এ সময় তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে এসেছিলেন অভিনয় ও সংগীত জগতের অনেকে। তাঁদের মধ্যে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, মামুনুর রশীদ, মাসুম আজিজ, উজ্জ্বল, আজিজুল হাকিম ও সম্রাট। আর সংগীতশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, আপেল মাহমুদ, খুরশীদ আলম ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত প্রমুখ।
নাজমুল হুদা বাচ্চুর মেয়ে সাবিয়া নাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে ইন্দিরা রোডের বাসায় বাবার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়। দুই জায়গায় বাবার দীর্ঘদিনের অনেক সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন।’
এর আগে সাবিয়া জানিয়েছিলেন, তিনি আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঈদের দুই দিন আগেও তিনি নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। শুটিং থেকে বাসায় ফেরার পর জ্বরে আক্রান্ত হন। একই সঙ্গে রক্তচাপ মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়ায় ঈদের দিন দুপুরে বাবাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক কয়েকটি পরীক্ষা দেন। পরদিন পাওয়া পরীক্ষার ফলাফলে হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে।
নাজমুল হুদা বাচ্চু জীবদ্দশায় অনেক বিজ্ঞাপনচিত্র, চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করেছেন। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র বিভিন্ন নাট্যাংশে নিয়মিত দেখা গেছে তাঁকে। প্রবীণ এ অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’, ‘অলংকার’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘রানওয়ে’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘ডাক্তার বাড়ী’, ‘বিদ্রোহী পদ্মা’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’, ‘সারেং বৌ’ ও ‘বেহুলা-লখিন্দর’।