সরকারি নিয়োগে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নিয়ে জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিলে আবারও অবরোধ করে দেশ অচল করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে আগামী ৭ মে’র মধ্যে দাবি মেনে না নিলে ফের অবরোধ কর্মসূচীর ঘোষণা দেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, আজ বিকেল ৫টার মধ্যে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নিয়ে দেয়া বক্তব্য মতিয়া চৌধুরী প্রত্যাহার করে না নিলে এবং এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে আমরা সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচী পালন করব।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৭ মে‘র মধ্যে যদি কোটা সংস্কারের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়া না হয় তাহলে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে।
রাশেদ খান বলেন, উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীরা চলমান আন্দোলনের সাথে যুক্ত নয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়েরও কেউ নয়। তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এসময় তিনি হামলাকারী পুলিশের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, নতুন কমিটি তারা স্বার্থ হাসিলের জন্যই করেছে। আমাদের ব্যানার ব্যতীত কেউ যদি অন্য ব্যানারে আন্দোলন করে তাদেরকে আমরা প্রতিহত করব।
এসময় সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলন করার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে যেন কোনো আন্দোলনকারীকে বের করে দেয়া না হয় তার অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত সোমবার কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের তুলোধুনো করে জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?’ পরিষ্কার বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। রাজাকারের বাচ্চাদের আমরা দেখে নেবো’।