রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে শীর্ষে যে দেশগুলো
প্রকাশ: ১০:৩৮ am ২৩-০৯-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:৪১ am ২৩-০৯-২০১৭
 
 
 


মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনী চালাচ্ছে জাতিগত নিধন ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। জ্বালিয়ে দিচ্ছে ঘর-বাড়ি, ধর্ষণ করছে নারীদের। এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞে তারা ব্যবহার করছে নানা ধরনের অস্ত্রসস্ত্র।

সামরিক শক্তিতে এ দেশটি ছিল অনেক পিছিয়ে। ১৯৯০ সালের পর থেকে ক্রমশই সামরিক শক্তি বলিয়ান হতে থাকে মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকার। যুদ্ধবিমান, মিসাইল, সামরিক যানসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওঠে মিয়ানমার। দেশটি তাদের মোট জাতীয় বাজেটের এক-চতুর্থাংশ ব্যয় করে সামরিক বাহিনীর পেছনে। 

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (এসআইপিআরপি) বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রেতাদের নাম তুলে ধরা হয়। 

এ তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে চীন তারা ১৯৯০ সালের পর থেকে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে চীন। তারা ১২০টি যুদ্ধবিমান, ৬৯৬ সাঁজোয়া যান, ১২৫ কামান, ১০২৯ মিসাইল, ২১টি নৌ-জাহাজসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে।

এর পরেই বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। তারা ৬৪টি যুদ্ধবিমান, ১০০ কামান ও ২৯৭১টি মিসাইলসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে।

মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে ভারতও পিছিয়ে নেই। যুদ্ধবিমান, কামান, নৌ-জাহাজসহ সেকেন্ডহ্যান্ড অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করে দেশটি।

ইসরাইল মিয়ানমারের কাছে অনেক আগে থেকেই অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। তারা সাঁজোয়া যান, কামানসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র বিক্রি করছে। এ ছাড়া তারা মিয়ানমারের সেনাদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে। ইউক্রেন ও সার্বিয়াও মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। ইউরোপের কিছু দেশ জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। 

গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এ পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT