অনুশীলনে নিজেদের মধ্যে ম্যাচে নেইমারের সঙ্গে হঠাৎই লেগে যায় সেমেদোর। পর্তুগিজ রাইটব্যাকের হাত উঠে যায় নেইমারের গলায়, শুরু হয় হাতাহাতি। এক বার্সা-সতীর্থ সেমেদোকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেন। কিন্তু নেইমার আবার তেড়ে যান সেমেদোর দিকে। সার্জিও বুসকেটস তাঁকে জড়িয়ে ধরে সে-যাত্রা থামান। রাগান্বিত নেইমার আর অনুশীলনেই থাকেননি। গায়ের বিবটা খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন, অনুশীলন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় লাথি মারেন বলে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের চোখে, আসলে ‘বার্সেলোনা, না পিএসজি’—দলবদল নিয়ে মাথায় চেপে বসা চাপে নেইমার যেন বিপর্যস্ত। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ কালকের এমন আচরণ।
যদিও সব ইঙ্গিত এখন নেইমারের পিএসজিতে যাওয়ার দিকেই। এমনিতেই ধারণা করা হচ্ছিল, আগামীকালের রিয়াল ম্যাচটিই হবে বার্সার জার্সিতে নেইমারের শেষ। এর মধ্যে চীন থেকে আসা একটা খবরও প্রায় নিশ্চিত করছে, তাঁর বার্সা ছাড়া নিশ্চিত। প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি শেষে দলের সবাই বার্সেলোনায় ফিরলেও বাণিজ্যিক এক চুক্তির কারণে চীনে যাওয়ার কথা ছিল নেইমারের। কিন্তু চীনের ট্রাভেল এজেন্সি সিট্রিপ গতকাল জানিয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের চীন সফর বাতিল হয়ে গেছে। কারণ, ‘তিনি দলবদলের ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত।’
ফ্রেঞ্চ পত্রিকা লে’কিপও জানিয়েছে, নেইমারের সঙ্গে পিএসজির সব বোঝাপড়া শেষ। বছরে ৩০ মিলিয়ন ইউরো বেতনে ৫ বছরের চুক্তি হয়েই গেছে। প্যারিসের ক্লাবটি এখন বার্সেলোনার সঙ্গে আলোচনায় বসবে। আরেক পত্রিকা লা পারিসিয়েনও লিখেছে, পিএসজির দিক থেকে এখন আসলে ‘মিথ্যা অনিশ্চয়তা’ দেখানো হচ্ছে। দলবদলটা এখন আর ‘হবে কি না’ পর্যায়ে নেই, বরং ‘কখন হবে’ পর্যায়ে চলে গেছে।
বার্সারও যেন নেইমারের দলবদল ঠেকানোর সব শক্তি ফুরিয়ে গেছে। ক্লাব সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউই নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘আমরা চাই ও (নেইমার) থাকুক। এখনো চুক্তির চার বছর বাকি ওর। তবে ক্লাবে থাকবে কি থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত তো খেলোয়াড়েরই। এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই।’ কাতালান পত্রিকা স্পোর্ত-এর খবর, নেইমারকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বার্সা। নতুন কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেও নাকি জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৭ আগস্ট হুয়ান গাম্পার ট্রফির আগেই দল নিয়ে সব অনিশ্চয়তার শেষ চান তিনি।
নেইমার চলে গেলেও যে মৌসুমের প্রস্তুতি নিতে হবে তাঁকে! রয়টার্স, স্পোর্ত, মার্কা।