মিয়ানমার থেকে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া এবং তাদের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের মানবিক আচরণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ এখানে প্রাপ্ত এক সরকারি বিবৃতিতে এ খবর জানা যায়। ওয়াশিংটনে মঙ্গলবার মাকির্ন পররাষ্ট্র দফতরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ বার্ষিক নিরাপত্তা বৈঠকে ওয়াশিংটন ডিসি এই প্রশংসা করে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা) আবিদা ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মাকির্ন পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক সামরিক ব্যুরোর ডেপুটি এ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাইক মিলার।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে পাঁচ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জীবন বাচাঁতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পায়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা এ সকল রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আঞ্চলিক বিষয়সহ প্রতিরক্ষা, শান্তিরক্ষী, কাউন্টারটেররিজম এবং বেসামরিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে প্রবর্তক হিসাবে এবং হাইতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রথম মহিলা একমাত্র কন্টিনজেন্টের অবদানে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার প্রশংসা করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কাউন্টারটেরোরিজম এবং কাউন্টারিং ভাইওলেন্ট এক্সট্রিমিজম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এবং যে কোন উপায়ে জঙ্গিবাদ দমনে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে একমত হয়েছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ৭ম দফা বৈঠক আগামী বছরে ঢাকায় সুবিধাজনক কোন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।