সেনাবাহিনী ও সহযোগীদের হত্যা, নির্যাতনের মুখে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বাংলাদেশ দেরি করছে বলে অভিযোগ করেছে মিয়ানমার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির কার্যত নেতা অং সান সু চির মুখপাত্র জ হতয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
মিয়ানমারের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সহায়তার অর্থ হিসেবে কোটি কোটি ডলার পাওয়ার আগপর্যন্ত প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় না বাংলাদেশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আগস্টের শেষের দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সেনা অভিযান শুরুর সময় থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
জ হতয় বলেন, ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনো সময় রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় মিয়ানমার। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো চুক্তির সেই শর্তগুলো মেনে নেয়নি।
‘আমরা (ফেরত প্রক্রিয়া) শুরু করতে চাই, কিন্তু অপরপক্ষ (বাংলাদেশ) এখনো (চুক্তি) মেনে নেয়নি। আর এ কারণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। এটাই প্রধান কারণ’, বলেন মিয়ামনমারের কার্যত নেতার কার্যালয়বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) জ হতয়।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মিয়ানমার সফরকালে সীমান্তে লিয়াজোঁ অফিস চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু পুরোনো চুক্তিটির বিষয়টি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।