শিক্ষা মন্ত্রী নিজেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় সাহসিকতার পরিচায়ক হতে পারে। তবে একই সঙ্গে নৈতিক অবস্থান থেকে তিনি পদত্যাগ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। এমনটিই প্রত্যাশা করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দেয়া এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য যেমন জাতির জন্য উদ্বেগজনক, তেমনি এতে কেবল তার নিজের বিভ্রান্তি ও হতাশার প্রতিফলন ঘটেছে। মন্ত্রীর বক্তব্যে এটাও পরিষ্কার যে ইতিপূর্বে শিক্ষা খাতে টিআইবি’র একাধিক গবেষণায় উঠে আসা ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতির চিত্র ও বিশ্লেষণকে তিনি শুধু ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার ও উপেক্ষাই করেননি বরং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গেলো ২৪ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক অধিদফতরের দুর্নীতির ব্যাপকতা রোধে কর্মকর্তাদের ‘সহনশীল’ মাত্রায় ঘুষ গ্রহণের পরামর্শ দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিজেসহ মন্ত্রীপরিষদের সব সহকর্মীদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেন।
