সুন্দরবনে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গামা মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন জেলে, দুটি নৌকা, দুটি অস্ত্র ও পাঁচটি গুলি উদ্ধারের তথ্যও দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুন্দরবনের আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর (বাটলু) ভায়রার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ দাবি করেছে, গামা মণ্ডল (৩৫) সুন্দরবনের সংগঠিত দস্যুদল মুন্না বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি পলাশ নামেও পরিচিত। তাঁর বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাপপুর গ্রামে।
খুলনার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মুন্না বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিপণের দাবিতে ১১ জেলেকে জিম্মি করে। খবর পেয়ে রাতে আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর (বাটলু) ভায়রার খাল এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় দস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে মুন্না বাহিনী পিছু হটে।
ঘটনাস্থল থেকে গামাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জেলে ও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গোলাগুলিতে কয়রা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিউল আমিন, কনস্টেবল মো. লিটন ও হারিজ আহত হন বলেও দাবি করেছে পুলিশ।