নতুন করে সহিংসতার দুই মাসের অধিক সময় পর হঠাৎ করেই রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে গেলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।
আজ বৃহস্পতিবার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় পরামর্শক সু চি একদিনের সফরে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতয়ে এবং অন্যান্য শহর পরিদর্শন করবেন।
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিদিন নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ভিড় করছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি’ উদাহরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।
তবে কোনো ধরনের নির্যাতন-হত্যা-ধর্ষণের অভিযোগ বরাবরই নাকচ করে আসছে দেশটির অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। সেনাবাহিনীও দাবি করে, রোহিঙ্গারা সে দেশের নাগরিক নন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় সারা বিশ্বেই সমালোচনার মুখে পড়েন নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি। প্রায় দেড় দশকের অধিক সময় গৃহবন্দি থাকা সু চি পাঁচ দশক ধরে দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা নেন দুই বছরের কম সময় আগে।
সকালে অং সান সু চির মুখপাত্র জ হতয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সু চি এখন রাখাইনে রয়েছেন। তিনি মংডু ও বুথিডংয়েও যাবেন।’
‘এটা একদিনের সফর’, যোগ করেন মুখপাত্র। তবে কেন হঠাৎ করেই এই সফর, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি।
স্থানীয় সময় আজ সকালে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে সু চিকে রাখাইনের রাজধানী সিতয়ে নামতে দেখেছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি। তাঁর সঙ্গে প্রায় ২০ জনের একটি প্রতিনিধিদলও রয়েছে।