মিয়ানমার সরকারের আমন্ত্রণে ২৩ অক্টোবর দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাঁর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ একটি প্রতিনিধিদল যাচ্ছে।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতা শুরুর পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামার আগেই তাঁর মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা ছিল উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এত দিন পর এসে সেই সফর চূড়ান্ত হলো।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচারসহ চারটি বিষয় নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটিই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, সেহেতু এটিই হবে আলোচনার মুখ্য বিষয়। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলেও আশা করেন তিনি।
রাখাইন প্রদেশে পুড়িয়ে দেওয়া রোহিঙ্গাদের বসতবাড়ি ও এলাকাগুলোতে যাবেন কি-না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব করব। তারা (মিয়ানমার সরকার) অ্যালাউ করলে আমরা সেখানে যাব।’
এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, দেশে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসনের চিন্তা হচ্ছে, অন্যদিকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনাও চলছে। এক কারণ কী? সরকার কি ধরেই নিয়েছে যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে না মিয়ানমার সরকার?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আলোচনাও হবে আবার রোহিঙ্গারা যেন মানবেতন জীবনযাপন না করেন, সেদিকেও লক্ষ রাখা হবে।’ তিনি জানান, উখিয়া ও টেকনাফে যে পরিমাণ বাঙালি বা স্থানীয় বাসিন্দা আছেন, তার চার গুণ রোহিঙ্গা আছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কী পরিমাণ কষ্টের জীবন তাঁরা যাপন করছেন। তাই বাংলাদেশ সরকার আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টাও চলছে।