ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র ১০নং মহাবিপদ সংকেতের পর আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে আসছে উপকূলের মানুষ। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে তারা।
একইসঙ্গে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়েকেন্দ্রে ঠাই নিয়েছে দুর্যোগকবলিত এলাকার মানুষ। আশ্রয় নেয়া এসব অসহায় মানুষদের প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা সহ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করছে জেলা প্রশাসন।
নিজ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষজন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরা’র ১০নং মহাবিপদ সংকেতের খবর মাইকে প্রচার করার পর তারা গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে এসেছে। এখানে তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার ৫৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়ার পাশাপাশি নেয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২ লাখেরও বেশী মানুষকে আশ্রয় দেয়া হবে। একারণে গঠন করা হয়েছে ৮৮ টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় থাকা ৪১৪ টি ইউনিটের ৬ হাজার ১০ জন স্বেছাসেবক এবং রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেছাসেবক কর্মী।
এছাড়া মোরা’র কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সিভিল এভিয়েশন। সেইসঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দরও বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।