কক্সবাজারের গোলদিঘির পাড় এলাকার একটি বাসা থেকে শিশুসহ একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সুমন চৌধুরী (৩৫) ও তার স্ত্রী বেবী চৌধুরী (৩০), সন্তান অন্তিকা চৌধুরী (১১), জ্যোতি চৌধুরী (১৩)। ওসি রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া জানান, দুই মেয়ে অন্তিকা ও জ্যোতি এবং স্ত্রী বেবীকে হত্যার পর হত্যাকারী সুমন নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় দুলাল দাস জানান, সকাল থেকে ওই বাড়িতে কোনো মানুষের সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ জাগে। এরপর সেখানে গিয়ে দরজা ভেতর থেকে লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। সারা দিন দরজা ভেতর থেকে লাগানো দেখে কৌতূহল জাগে। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ৪টি মরদেহ পাওয়া যায়। স্ত্রী বেবী চৌধুরী এবং দুই মেয়ে অন্তিকা ও জ্যোতি চৌধুরীর মরদেহ ঘরে শোয়ানো অবস্থায় ছিল। সুমন চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, নিজে ফাঁসিতে ঝোলার আগে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সুমন। জেলা পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।