মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর এখনো পড়ানো হচ্ছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে এসব খবর জানানো হয়। প্রমাণ হিসেবে বাড়ি-ঘর পোড়ানোর ভিডিও এবং উপগ্রহের চিত্র ব্যাখা করে সংস্থাটি বলছে, রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে গেলেও, কোথায় থাকবে সেই উপায় রাখছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি বলেছিলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের পর রাখাইনে সেনা অভিযান চলছে না। জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে রাখাইনে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে বলে জানান মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভান থিও। সংস্থাটি এর আগে ২২ সেপ্টেম্বরের উপগ্রহ চিত্রেও রোহিঙ্গা গ্রামে জ্বালিয়ে দেওয়া ঘর থেকে ধোঁয়া ওড়ার কথা জানায়। এখনো রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া অং সান সু চির বক্তব্যের অসারতা তুলে ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স পরিচালক তিরানা হাসান। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতায় গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশ ঠাঁই নিয়েছে।