ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে হত্যার সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের পশু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে দাবি করে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, এতে তাদের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন।
সকালে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির নাম প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শেরপুরের নকলা উপজেলার বাসিন্দা সিএনজিচালক আলিম প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি। এ ব্যাপারে পরদিন তাঁর বাবা আবু বক্কর ছিদ্দিক নকলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরদিন ২২ মার্চ ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর দারুল উলূম নুরানিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা বিকেলে মাঠে খেলার সময় দুর্গন্ধ পায়। এর সূত্র ধরেই হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা, নাকে-মুখে টেপ লাগানো অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নকলা থেকে আবু বক্কর ছিদ্দিক এসে ছেলে আলিমের লাশ সনাক্ত করেন। আলিম মায়ের পক্ষ থেকে পাওয়া ওয়ারিশ বিক্রি করে তিন মাস আগে সিএনজিটি ক্রয় করেছিলেন। পুলিশের ধারণা, আলিমকে হত্যার পর তাঁর অটোরিকশাটি দুর্বৃত্তরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের ব্যাপারে ফুলপুর থানার ওসির ভাষ্য হচ্ছে, সিএনজিচালক হত্যা মামলার আসামি ধরার জন্য ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। এ সময় পশু হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে ধাওয়া দেয় পুলিশ।
ওই ব্যক্তি তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছুড়ে। তখন অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হন। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয় বলে দাবি করেন ওসি।