হ্যাজেলউডের বাউন্সার ক্রিস অ্যান্ডারসনের ব্যাট ছুঁয়ে আশ্রয় নিল টিম পেইনের গ্লাভসে। গুটিয়ে গেল অজিদের রান পাহাড়ে কোণঠাসা ইংল্যান্ড। আর তাতেই সিডনি টেস্টটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ও ১২৩ রানে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সিরিজের শেষ টেস্ট ও শেষ দিনে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থমকে যায় মাত্র ১৮০ রানেই। এ হারের মধ্য দিয়ে অ্যাশেজ সিরিজে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার অভিযানে এ ম্যাচের আগেই প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ টেস্ট জিতে ৪-০ ব্যবধানের জয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়োৎসবকে আরও বাড়িয়ে নিল স্টিভেন স্মিথরা। আর মেলবোর্নে অ্যালেস্টার কুকের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টটি ড্র হয়েছিল। অজিরা নিজেদের প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট হারিয়ে ৬৪৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ৪ উইকেটে ৯৩ রানে দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে শুরু করেন মইন আলি। বেশি লম্বা হয়নি এই জুটি। শেশ পর্যন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৬ রান করেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া থেকে ৩০৩ রানের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক দলের বোলারদের বোলিং তোপে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। শূন্য রান করে সাজঘরমুখী হয়েছেন ওপেনার মার্ক স্টোনম্যান। আরেক ওপেনার অ্যালিস্টার কুক সাজঘরে ফেরেন মাত্র ১০ রান করে। এরপর নিয়মিত উইকেট পতনের মুখে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থমকে যায় ১৮০ রানেই। অস্ট্রেলিয়ার তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করলেও দুই ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কামিন্স। আর মোট ৬৮৭ রান করে সিরিজ সেরা অধিনায়ক স্মিথ।