মাশরাফি উইকেট পাবেন আর সাদামাটা উদযাপন হবে। এ আর এমনকি! এটা তো হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু ম্যাশ নিজেও কি জানতে, কত বড় কীর্তি গড়েছেন? তাকে সেটা জানানোর দায়িত্ব নিলো গণমাধ্যম কর্মীরা। তারপরেও কথাবার্তায় নির্বিকার। মনে হবে, কিছুই করেন নি। রেকর্ড নিয়ে ভাবার সময় কই তার?
'মাইন্ড সেটআপ সেরকম ছিলো না। এই লিগটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যাতে পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ আসার আগ পর্যন্ত প্রস্তুতিটা ঠিকঠাক হয়। আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো যাচ্ছে। এটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। একেবারে শুরু থেকে এবং এখনও পর্যন্ত তাই আছে।' বলছিলেন মাশরাফি।
এমন না যে খেলতে নামলেই উইকেট পাওয়া যায়। তারপরেও বয়স এখন ৩৪। তবে কি এর পেছনে আছে অভিজ্ঞতা? এটার গুরুত্ব আছে ম্যাশের কাছে। কিন্তু আগের মাশরাফি আর বর্তমানের মাশরাফির মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়?
'পারফরম্যান্স বলেন আর অ্যাকটিভিটিস বলেন, সেই জায়গায় আমার কাছে কোন পার্থক্য তৈরি হয়নি মনে হচ্ছে। একটা পার্থক্য তৈরি হয়েছে, আর সেটা হলো-ম্যানেজিং পাওয়ার। কেবল একজন বোলারই না, বোলারের ক্ষেত্রে হয়তো বা একটু বেশি। এটা জিম ওয়ার্ক হতে পারে, রানিং ওয়ার্ক হতে পারে। ওইটা তো অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতার সঙ্গে হবে।'
মাশরাফির ধারে কাছে নেই কোন পেসার। তবু তরুণদের দেখে আশাবাদী টাইগার ক্যাপ্টেন।
'কাজী অনিক আছে। মোহামেডানের হয়ে ও অনেক ভালো বোলিং করেছে। আরও কিছু ভালো বোলার আছে, অনূর্ধ্ব-১৯ এর কয়েকজন ফাস্ট বোলার দেখলাম। তারাও খুব ভালো। তবে এদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে একটা প্রস্তুতির মধ্যে রাখতে পারলে আমার বিশ্বাস ওরা ভবিষ্যতে ভালো করবে।'
ম্যাশ বললেন- 'আমি ভাগ্যে অনেক বিশ্বাসী। আমার কাছে ভাগ্যটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, আপনাকে চেষ্টা করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। সেটাও করছি।'
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের একদম কাছাকাছি আবাহনী। শেষ রাউন্ডে হারলে, আর শেখ জামাল ও লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ জিতলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল আবাহনীর। সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডে খেলাঘরকে তারা হারিয়েছে ১২৭ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান তোলে খালেদ মাহমুদের দল। জবাবে ১১৪ রানে অলআউট হয় খেলাঘর। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।