৯ দলের অংশগ্রহণে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৩ দল নিয়ে ওয়ানডে লিগ আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টেস্ট ও ওয়ানডে লিগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল ক্রিকেট বিশ্বে। অবশেষে তা আলোর পথ দেখলো। বাড়তি রোমাঞ্চের লক্ষ্যে টেস্ট ও ওয়ানডের ক্রিকেট কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছে আইসিসি।
১৩ অক্টোবর শুক্রবার অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভা শেষে বহুল প্রতীক্ষিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লিগ অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে ২০১৯ সালের আইসিসি বিশ্বকাপের পর। আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের প্রথম নয়টি দল এতে অংশ নিবে। জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারবে না।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ছয়টি করে সিরিজ খেলবে প্রতিটি দল। প্রতিটি সিরিজে কমপক্ষে দুইটি টেস্ট বাধ্যতামূলক খেলতে হবে। তবে, এটি বাড়িয়ে পাঁচ ম্যাচ পর্যন্ত করতে পারবে দলগুলো।
আর ওয়ানডে লিগ প্রথম মেয়াদে অনুষ্ঠিত হবে ২০২০-২১ সালে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেয়ার জন্য ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সেরা ১৩টি দল এই লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর লিগের সময় বাড়িয়ে তিন বছর করা হবে। প্রতিটি দল আটটি করে সিরিজ খেলবে। প্রতিটি সিরিজে সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ খেলা যাবে।
নতুন কাঠামোতে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফরমেটেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পয়েন্ট সিস্টেম যুক্ত হবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে পরীক্ষামূলকভাবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে চারদিনের টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন এই কাঠামোতে প্রথম সারির দলগুলো সবাই সমান ভাবে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে লাভবান হবে র্যাংকিংয়ের নিচের দিকে থাকা দলগুলো।