অনেক আম গাছে এক বছর অন্তর ফুল-ফল হয়। আবার অনেক গােছ দু’তিন বছর অন্তর। গাছের বেশি বয়স, খারাপ আবহাওয়া-সহ বিভিন্ন কারণে অনিয়মিত ফলন হতে পারে। আবার আপনার আমগাছ হয়তো নিয়মিত জাতের নয়। কিন্তু নিয়মিত জাতের হওয়া সত্ত্বেও অনিয়মিত ফলন হলে আপনাকে অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে।
সাধারণ পরিচর্যাঃ
• বাগানে বছরে দু’বার চাষ দিতে হবে। বর্ষার আগে ও পরে।
• সঠিক মাত্রায় সুষম সার দিতে হবে প্রতি বছর। প্রথম বছরে গাছ প্রতি ১৬০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম সিঙ্গল সুপার ফসফেট ও ১২৫ গ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ দিন। এর সঙ্গে বয়স গুণ করে প্রতি বছর সারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ ১০ বছরের গাছ হলে ১৬০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০০ গ্রাম সিঙ্গল সুপার ফসফেট, ১২৫০ গ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। এরপর সারের হার একই থাকবে। অণুখাদ্যের অভাব পূরণে বোরণ, মলিবডেনাম, জিঙ্ক প্রয়োগ করতে হবে। আর রাসায়নিক সারের পূর্ণ কার্যকারিতা পেতে প্রতি বছর ৪০-৫০ কেজি জৈব সার অবশ্যই মেশাতে হবে মাটিতে নিয়মিত জল দিতে হবে। মাটিতে যেন রসের অভাব না হয়।
• শুকিয়ে যাওয়া এবং রোগগ্রস্ত ডাল দেখার সঙ্গে সঙ্গে তেরচা ভাবে ছেঁটে দিতে হবে, যাতে বৃষ্টির জল গড়িয়ে পড়ে যায়। এই কাটা অংশে কপার-অক্সিক্লোরাইড ৫০% ডব্লুপি-এর প্রলেপ লাগালে পচন রোধ হবে।
• পরাগসংযোগের জন্য বাগানে মৌমাছি চাষ করা যেতে পারে।
• গাছটির বৃদ্ধির হার খুব বেশি হলে কিছু কিছু ডালে প্রায় দু’সেমির
মতো ছাল গোল করে চার দিক থেকে তুলে ফেলতে হবে। এটি করতে হবে অক্টোবর মাসে (আশ্বিনের মাঝামাঝি থেকে কার্তিকের মাঝামাঝি)।
• পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং ইথেফন প্রয়োগ করা যেতে পারে।