প্রচন্ড শীত ও কনকনে ঠান্ডা বাতাশে কাবু হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ জনপদের বিভিন্ন মানুষ। জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। দিনাজপুরে রোববার (৭ জানুয়ারি) সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ বছরের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা আজ এবং যা গত দু’বছরের চেয়ে সর্বোচ্চ কম। ২০১৩ সালে একবার সর্ব নিন্ম তাপমাত্রা হয়েছিলো ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে। তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। প্রচণ্ড শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ায় সন্ধ্যে হলেই দিনাজপুর শহরসহ গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষ।গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। এ অবস্থায় কাজে বের হতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করছে তারা। খড়-কটো জ্বালিয়ে একটু তাপ নিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন দৃশ্য প্রায় চোখে পড়ছে দিনাজপুরে। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। এদিকে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের অনেকেই ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। সব বয়সের মানুষদের এই তীব্র শীতে সতর্ক থেকে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।