ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ গড়েছিল সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের নতুন রেকর্ড। ছুঁড়ে দিয়েছিল ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জ। তৃতীয় ওভারে ওপেনার জ্যাসন রয়ের উইকেটও তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু এত কিছুর পরেও হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো টাইগারদের। ৮ উইকেটের জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুভসূচনা করল স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশের এই হারের পেছনে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়েরও কিছুটা ভূমিকা আছে। ৩৬তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে দারুণ এক ক্যাচ ধরেছিলেন তামিম ইকবাল। ওয়েন মরগান যে আউট ছিলেন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছিল না তামিমের। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন নট আউটের কথা। থার্ড আম্পায়ারও সেই সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছিলেন। সেসময় মরগান করেছিলেন ২৩ রান। এই সময়ে একটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু সেই দরগান পরে ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
ইংল্যান্ডের জয়ের মূল নায়ক অবশ্য জো রুট। ১৩৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্রান।
মাশরাফির করা প্রথম ওভারে মাত্র দুই রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাসন রয় ও অ্যালেক্স হালেস। মাশরাফির দ্বিতীয় ওভারে কিছুটা চড়াও হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রয়। স্কুপ করতে গিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে। কিন্তু থার্ড ম্যান অঞ্চলে দারুণ এক ক্যাচ ধরে তাঁকে সাজঘরমুখী করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য ১৫৯ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছেন হেলস ও রুট। ২৮তম ওভারে অবশেষে এই জুটি ভেঙেছেন সাব্বির। শতকের খুব কাছাকাছি এসেও হতাশ হতে হয়েছে হেলসকে। ফিরে গেছেন ৯৫ রান করে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ১২৮, মুশফিকুর রহিমের ৭৯ রানের দারুণ দুটি ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ জমা করেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ জুটির নতুন রেকর্ডও গড়েছেন তামিম ও মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেছিলেন ১৬৬ রান। এর আগে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটিটিও ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৫ বিশ্বকাপে মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ পঞ্চম উইকেটে করেছিলেন ১৪১ রান।