বিপিএলে প্রথম জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রাম ভাইকিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে মোহাম্মদ নবীর দল। প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান করেছিল চট্টগ্রাম। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪ ওভারেই ৪০ রান তুলে নেয় কুমিল্লা। ১৪ বলে ২৩ রান করে লিটন দাস আউট হলেও জস বাটলার অন্যপ্রান্তে ছিলেন অবিচল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৫৭ রান যোগ করেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৪২ বলে দুটি চার ও তিন ছয়ে ৪৮ রান করে আউট হন বাটলার। এরপর মারলন স্যামুয়েলসের ১৮ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন নবীরা। ৩১ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ইমরুল। ভাইকিংসদের হয়ে দুটি উইকেটই নেন শুভাশীষ রায়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১১ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৯৭ তুলেছিল চট্টগ্রাম। সে হিসাবে অনায়াসে ১৬০-১৭০ রান পার করে যাওয়ার কথা ছিল দলটির। তবে শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৬ রানই নিতে পারেন মিসবাহ উল হক-সৌম্য সরকাররা। ফলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংগ্রহটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানেই শেষ হয়েছে এনামুল-সৌম্যদের ইনিংস।
মূলত মিডলঅর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণেই সংগ্রহটা বাড়েনি ভাইকিংসদের। লুক রনকি-সৌম্য সরকার ও দিলশান মুনাবিরা দারুণ সূচনা করে দিয়েছিলেন চট্টগ্রামকে। একটা সময় ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৬ রান ছিল দলটির স্কোরবোর্ডে। মুনাবিরা ও সৌম্য ফিরতেই রান নেওয়ার জন্য গলদঘর্ম হতে হয়েছে মিডলঅর্ডারের ব্যাটসম্যানদের। এনামুল হক বিজয়, মিসবাহ উল হক, লুইস রিস, সিকান্দার রাজারা কিছুই করতে পারেননি।
২১ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন লুক রনকি। এ ছাড়া সৌম্য ৩৮ ও মুনাবিরা করেন ২১ রান। সাইফুদ্দিন চার ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আল আমিন হোসেন, আরাফাত সানি, অলক কাপালি, মারলন স্যামুয়েলস, ডোয়াইন ব্রাভো, জস বাটলার, মোহাম্মদ নবী ও রশীদ খান।
চিটাগং ভাইকিংস : সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, এনামুল হক, শুভাশীষ রায়, সানজামুল ইসলাম, লুক রনকি, মিসবাহ উল হক, সিকান্দার রাজা, দিলশান মুনাবিরা, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও লুইস রিস।