বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদকের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, ক্লাব নিবন্ধনে জালিয়াতে সহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ৬ কার্যনির্বাহী সদস্য। তাদের অভিযোগ ফেডারেশনের সব সিদ্ধান্ত এককভাবেই নেন সাধারণ সম্পাদক। যদিও এইসব অভিযোগকে একটি সমর্থক গোষ্ঠির অপপ্রচার বলে মন্তব্য সাধারণ সম্পাদক আলী আহসানের।
বাংলাদেশের দারুণ সম্ভাবনাময় এক খেলার নাম কারাতে। বিগত বছরগুলোতে ঘরে ও বিশ্ব দরবারে দেশের প্রতিযোগীদের নজরকাড়া পারফরমেন্স অন্তত তাই বলে। ২০১০ সাফ কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে ৪টি স্বর্ণসহ সর্বোচ্চ পদক জেতে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
তবে প্রেক্ষাপট পাল্টাতে থাকে ঐ বছরই। ২০১০ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন আলী আহসান বাদল। যার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সম্প্রতি সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগে, ফেডারেশনের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন ৬ কার্যনির্বাহী সদস্য।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলী আহসান। আর এ গুলোকে প্রতিপক্ষের কারসাজি বলেও মন্তব্য তার।
দেশের কারাতে'তে সামনে ব্যস্ত শিডিউল। ডিসেম্বরে পেরুতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা এসএ গেমস। তাইতো ফেডারেশন কর্তাদের পারস্পারিক দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত না আবার ভেস্তেই যায় সব পরিকল্পনা এমনটাই শঙ্কা খেলোয়াড়দের।