গত বছরের মতো এবারও কোরবানির ঈদের আগে ধাপে ধাপে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা। সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তের আলোকে চলতি সপ্তাহের শেষেই তিন ধাপে ছুটি শুরু হবে। বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও একেক কারখানার সক্ষমতা অনুযায়ী শ্রমিকদের চলতি মাসের বেতন দেওয়া হবে। এদিকে গতকাল পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কারখানায় ঈদ বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে। তবে শ্রমিক নেতাদের দাবি, বোনাস দেওয়ার হার আরও কম। তাদের ভাষ্যমতে, গতকাল পর্যন্ত বোনাস দেওয়ার হার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের বেশি নয়। জানা যায়, ঈদের আগে রাস্তায় পরিবহনের চাপ সামলাতে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বিজিএমইএকে আহ্বান জানানো হয় ঈদের আগে ধাপে ধাপে কারখানাগুলো ছুটি দেওয়ার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারের নির্দেশনা অনুসারে বিজিএমইএর পক্ষে মালিকদের এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষে মালিকদের যে অনুরোধ করা হয়, সেই অনুসারে কারখানা কর্তৃপক্ষ আগামী ২৮ আগস্ট থেকে এ ছুটির প্রক্রিয়া শুরু করবে। এ সময় মালিকরা প্রয়োজনে শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেন শ্রমিকরা একটু বেশি সময় ধরে আপনজনদের সঙ্গে ঈদের ছুটিতে থাকতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, শ্রমিকদের যাতায়াতের চাপ সামলাতে সরকারের অনুরোধে বিজিএমইএ আগামী ২৮ আগস্ট থেকে কারখানার মালিকদের ঈদের ছুটি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া সরকারি তিন দিনের ছুটিসহ পোশাক খাতের শ্রমিক আরও পাঁচ দিন বেশি ছুটি পাবে। তিনি বলেন, পোশাক খাতে এবারের ঈদের ছুটি থাকবে মোট আট দিন। শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং চলতি মাসের অগ্রিম বেতন নিয়ে জানতে চাইলে এসএম মান্নান কচি জানান, এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কারখানার শ্রমিকদের ঈদের বোনাস দেওয়া হয়েছে। বাকি কিছু কারখানায় সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা মালিক-শ্রমিক এবং ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি কোনো রকম সঙ্কট ছাড়াই শ্রমিকরা নিরাপদে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারবে।