পোশাক কারখানার ৮৫% সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে । এ কথা জানিয়েছে মার্কিন ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ।এর মধ্যে ৮০ শতাংশ কাজে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়েছে । বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি ইন বাংলাদেশ তাদের চতুর্থ বার্ষিক অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয় ।
বার্ষিক অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যালায়েন্সের সদস্য ৭৮৫টি পোশাক কারখানার মধ্যে ২৩৪টি কারখানা অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের কাঠামোগত সব ধরনের ত্রুটি সংশোধন কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী সংস্কার কাজ শেষ করেছে । তবে সংস্কারকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় ১৬২টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স ।
অ্যালায়েন্সের ৬৫৮টি সদস্য কারখানায় কাজ করেন ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৬৬ পোশাকশ্রমিক । তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই প্রাথমিক অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । প্রায় ২৭ হাজার নিরাপত্তা কর্মীকে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অ্যালায়েন্স । এ ছাড়া শ্রমিকদের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে । ইতিমধ্যে সেই হেল্পলাইনে নিজেদের সমস্যা ও অভিযোগ জানাতে পারছেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন ওঠে। তখন কর্মপরিবেশ উন্নয়নে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স গঠিত হয় ।