ইডেন কলেজের দুই ছাত্রীর লাঞ্চনার অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। অভিযুক্ত নেতার নাম মিজানুর রহমান পিকুল। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পিকুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র।
বরিবার রাতে পলাশী মোড়ে লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে চকবাজার মডেল থানায় এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর ছাত্রলীগ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশিদ তালুকদারের ভাষ্যমতে অভিযোগে বলা হয়েছে, রাত আটটার দিকে ইডেন কলেজ ছাত্রী, তাঁর স্বামী ও ছোট বোন পলাশীতে বাজার করতে যান। সেই সময় মিজানুর রহমান পিকুল বাজারের গেইটে অবস্থান করছিলেন। পলাশীর গেইট দিয়ে বাজারে ঢুকার সময় পিকুলের সাথে ছাত্রীর স্বামীর ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিকুল তার স্বামীকে গালিগালাজ করতে থাকেন।
পরে সেই ছাত্রী ও তার ছোট বোন প্রতিবাদ করলে পিকুলসহ তার অজ্ঞাত কয়েকজন অনুসারী তাদের উপর হামলা করে এবং পিকুল তার তাদের (মেয়েদের) জামা ধরে টানা হেচড়া করে।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক রাসেল আহমেদ তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে।
এরপর রাতেই এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি মিজানুর রহমান পিকুলকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাময়িক বহিষ্কার করে। তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে কারণ দর্শাতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পিকলুকে নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ।’
এ দিকে ঘটনার পর পিকুলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তার (পিকলু) বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং এর রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা পিকুলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি।’