জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিস (ওজোপাডিকো) কর্তৃক জেলার অবৈধ সংযোগ, মিটার বিচ্ছিন্ন করণ অভিযানের মধ্যে জেলা সদরের সাধুহাটি-ডাকবাংলা বিদ্যুত সাবষ্টেশনের (আঞ্চলীক ফিডার) গ্যাটিজ নুর আলম লাইনম্যান রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন এলাকাজুড়ে অবৈধ মিটার ও সংযোগ বানিজ্য করে আসছে মর্মে জানতে পেরে অবৈধ ১৯টি মিটার খুলে এনে গ্যাটিজ নুর আলম লাইনম্যান রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা গ্রহন (চলমান আছে), ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে অবৈধ রিমোট কট্রোল মিটার ব্যাবহার করে কোটি কোটি টাকার বিদ্যুত গিলে খাওয়া আমিনুল ডাক্তার ও সাবেক মেম্বর ওবাইদুলের ইজিবাইক গ্যারেজ জরিমানা সহ বন্ধ করার পরে এবার বিদ্যুত অফিসের অভিযানে ধরা পড়ল দীর্ঘদিনের অবৈধ চোরাই বিদ্যুতে ইজিবাইক চার্জ দেয়া গ্যারেজ“চার্জ ঘর”। ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিস (ওজোপাডিকো) ও আরাপপুর এলাকার স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিদ্যুত অফিসের গোপন সুত্রে খবর আসে শহরের আরাপপুরের এতিম খানা মোড়ের রজ“চার্জ ঘর” নামে একটি বাড়িতে দীর্ঘদিনের অবৈধ চোরাই বিদ্যুতে ইজিবাইক চার্জ দেয়া গ্যারেজ চলমান আছে। খবর পেয়ে ৯ই আগষ্ট দিন গত গভীর রাতে ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিসের (ওজোপাডিকো) বিশেষ অভিযান টিম আরাপপুরের এতিম খানার মোড়ের মতিনের ছেলে খালেদ ইবনে মতিনের উক্ত চোরাই বিদ্যুতে চালিত ইজিবাইক চার্জ দেয়া “চার্জ ঘরে” হানা দিয়ে বাসার ছাদের উপরে মিটার বিহীন মুল লাইন থেকে অবৈধ ভাবে চোরাই বিদ্যুতে ইজিবাইক চার্জ দেয়া গ্যারেজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অবৈধ ভাবে ব্যাবহার করা মিটার জব্দ করেছে।
অভিযানের দুদিন পরেই অভিযুক্ত খালেদ ইবনে মতিনকে ৪৪৫০০০/-(চার লাখ পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযানে অংশ গ্রহন করেন ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিসের (ওজোপাডিকো) সহকারী প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী, উপ.প্রকৌশলীদের মধ্যে মোঃ রফিকুল ইসলাম, উত্তম বাবু, আঃ হালিম, একরামুল হক, লাইনম্যান মিলু মুন্সি ও লাইন হেলফার আঃ হালিম প্রমুখ। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিসের (ওজোপাডিকো) নির্বার্হী কর্মকর্তা পরিতোষ চন্দ্র বলেন, অবৈধ সংযোগ, মিটার, বিচ্ছিন্ন করণ অভিযানের অংশ হিসাবে উক্ত অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। আর জেলার জন সাধারণের ও ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিসের (ওজোপাডিকো) কেউ কোন প্রকার অবৈধ বিদ্যুত সম্পর্কিত কাজের সাথে যুক্ত থাকলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। জেলাব্যাপী অবৈধ সংযোগ, মিটার বিচ্ছিন্ন করণে আমাদের এ ধরনের অভিযান চলতে থাকবে বলেও তিনি হুশিয়ারী দিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত খালেদ ইবনে মতিনের সাথে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে তিনি কোন প্রকার কথাবার্তা বলতে রাজী হননি।