জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রির পর এবার কাঁচাবাজারে টানা দু সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচ ও সবজির চড়া দামে নিম্ন আয়ের মানুষরা হিমশিম খাচ্ছে। খুচরা বাজারে এক পোয়া কাঁচা মরিচ (২৫০ গ্রাম) ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা। এছাড়াও সব ধরনের সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের মূল ২০০ টাকা, রসুন ২০০ থেকে ২১০, বেগুন ৫০ থেকে ষাট, পিয়াঁজ ৪০ থেকে ৫০, পটল ৫০ থেকে ৫৫, ঝিঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ পুইশাক ২০ থেকে ২৫, গোল আলু ২৫ থেকে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫, আমড়া ৩৫ থেকে ৪০, ঢ্যাড়স ৩০ থেকে ৩৫, কাঁচকলা ২০ থেকে ২৫, কচু ৩৫ থেকে ৪০, করলা ৫০ থেকে ৬০, মুসুরির ডাল প্রতিকেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পানিতে ডুবে গেছে অসংখ্য ফসলের ক্ষেত। দেশে উৎপাদিত ফসলের একটি বড় অংশ নষ্ট হয়েছে বন্যার পানিতে। এতে সবজি ও মরিচের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজারে সবজি সংকট থাকায় বেশি দামে কিনে আন্তে হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারে। বাজার করতে আশা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা ক্ষোভের সাথে জানান, একে তো চালের বাজারে আগুন তারপরও শাক সবজির এত দাম কল্পনায় করা যায় না। বাজার মনিটরিং না থাকায় যে যার ইচ্ছে মতো দাম হাঁকিয়ে যাচ্ছে। সঠিক ভাবে বাজার মনিটরিং করা না হলে এ দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না এমনটাই জানান ক্রেতারা।