রংপুর রাইডার্সকে ৪২ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা আরো সুসংহত করলো সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। এভিন লুইসের ৭৫ রানের ‘বিস্ফোরক’ ইনিংসে ঢাকার করা ১৮৮ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ১৪৬ করতে সমর্থ হয় রংপুর।
জিয়াউর রহমান ৪৩ বলে ৬০ ও সোহাগ গাজি ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। দলীয় ৪৬ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর দু’জন মিলে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ১৯তম ওভারে গাজিকে ডোয়াইন ব্রাভো ও ইনিংসের শেষ বলে জিয়াউরের উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে স্বদেশি নাসির জামসেদের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন ‘বুমবুম’ আফ্রিদি। কিন্তু, রংপুর সমর্থকদের হতাশই করেন পাকিস্তান আইকন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন আফ্রিদি (০)। তাকে আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচে পরিণত করেন পেসার জায়েদ।
জামসেদের ব্যাট থেকে আসে ২১। এছাড়া ফর্মে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন ১, জিহান রুপাসিংহে ৮, লিয়াম ডসন ১১ ও সৌম্য সরকার ১ রান (রানআউট) করে আউট হন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে জায়েদ তিনটি ও সাকিব আল হাসান দু’টি উইকেট লাভ করেন। একটি করে নেন ব্রাভো ও সেকুজে প্রসন্ন।
এর আগে লুইসের চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে রংপুরকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুঁড়ে দেয় ঢাকা। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় সাত উইকেটে ১৮৮।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা দলপতি সাকিব। ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে ছিটকে গেছেন রংপুরের নিয়মিত অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। তার জায়গায় দলের নেতৃত্ব আরাফাত সানির কাঁধে।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই ১০৩ রান (৯.৫ ওভার) তোলেন মেহেদী মারুফ ও লুইস। বিপিএলে ঢাকার হয়ে প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চেনান লুইস। কুমার সাঙ্গাকারার পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে মাত্র ৩৪ বলে তিন চার ও আট ছক্কায় ৭৫ রানের ‘বিস্ফোরক’ ইনিংস উপহার দেন ক্যারিবীয় ওপেনার। স্ট্রাইক রেট ২২০.৫৮!
বল হাতে নিয়মিত না হলেও দশম ওভারে মারুফকে (৩১ বলে ৪০) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন সৌম্য সরকার। পরের ওভারেই জিয়াউর রহমানের বলে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন সিকুজে প্রসন্ন (১)। ১২তম ওভারে ‘বিধ্বংসী’ লুইসকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য।
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা আন্দ্রে রাসেল (৮)। ১৩তম ওভারে জিয়াউরের বলে লিয়াম ডসনের ক্যাচবন্দি হন তিনি। চার উইকেট হারিয়ে হঠাৎই যেন ছন্দ হারায় ঢাকা।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৪ রান যোগ করে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব ও ব্রাভো। ১৮তম ওভারে এসে ব্রাভোর (১৩ বলে ১৬) পর সাকিবকেও (২০ বলে ২৯) ক্লিন বোল্ড করে জোড়া উইকেট তুলে নেন রুবেল হোসেন। শেষ ওভারে নাসির হোসেনকে (৩) সাজঘরে পাঠান রুবেল। ৯ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন।
রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন রুবেল। দু’টি করে নেন সৌম্য সরকার ও জিয়াউর রহমান। তিন ওভারে ৪০ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন শহীদ আফ্রিদি।