তুরস্কের ইস্তাম্বুলে একটি নাইট ক্লাবে হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ এবং আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইস্তাম্বুল গভর্নর ভাসিপ সাহিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
গভর্নর ভাসিপ সাহিনের দাবি, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। তবে এ হামলার দায় এখনো কোনো পক্ষ স্বীকার করেনি।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে শনিবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে ইস্তাম্বুলের অরতাকয় এলাকায় রেইনা নাইট ক্লাবে এ হামলা হয়।
গভর্নর জানিয়েছেন, হামলাকারী ছিল একজন। তুর্কি ভাষার সিএনএন জানিয়েছে, সান্তা ক্লজের পোশাকে সজ্জিত ছিল হামলাকারী।
ভাসিপ সাহিন আরো জানিয়েছেন, নববর্ষ উদযাপন ও আনন্দরত লোকদের ওপর শক্তিশালী বন্দুক নিয়ে বর্বর ও নৃশংসভাবে হামলা চালায় এক সন্ত্রাসী। শহরের ইউরোপীয় পাশে বসফরাস নদীর তীরে হামলার শিকার রেইনা নাইট ক্লাব পরিদর্শনের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
হামলার সময় রেইনা নাইট ক্লাবে প্রায় ৭০০ লোক ছিলেন। জীবন বাঁচাতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
তুরস্কের দোগান নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, হামলাকারী আরবিতে কথা বলছিল। তুরস্কের টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা নাইট ক্লাবে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
হামলার পরপর শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি এখন হাওয়াইয়ে নববর্ষের ছুটি কাটাচ্ছেন।
এদিকে, হামলার পর সাময়িক সময়ের জন্য হামলার খবর প্রকাশ ও সম্প্রচার স্থগিত রাখতে বলে তুর্কি সরকার। জনমনে যেন আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে এবং শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সে জন্য এ ধরনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
তুরস্কে এ ধরনের হামলা প্রথম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ইস্তাম্বুলে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ায় শহরজুড়ে ১ হাজার ৭০০ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন রাখা হয়েছে।
তুরস্কে অধিকাংশ হামলার দায় স্বীকার করেছে হয় ইসলামিক স্টেট (আইএস), না হয় কুর্দি যোদ্ধারা।
কয়েক দিন আগে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এক তুর্কি পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিহত হন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলভ। হত্যার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা চিৎকার করে বলছিলেন, সিরিয়ার আলেপ্পোয় তুরস্কের ভূমিকার প্রতিশোধ হিসেবে রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করা হয়েছে।