দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে ধীর গতির উইকেটের মধ্যে একটি পার্লের বোল্যান্ড পার্ক। কিম্বার্লির মতো এখানে রান ওঠে না। এই মাঠে খেলা ১০টি ওয়ানডের কেবল দুটিতেই ৩০০-এর অধিক রান হয়েছে। দেড়শর নিচে রান হয়েছে চারবার। বোঝাই যাচ্ছে, রানের জন্য এখানে বেশ সংগ্রাম করতে হবে। পার্লের এই মাঠের চরিত্র অনেকটা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মতো। আর এটাই আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। পরিচিত কন্ডিশন না হোক অন্তত চেনা উইকেটে খেলবেন সাকিব-মুশফিকরা। হতাশার টেস্ট সিরিজ শেষে প্রথম ওয়ানডেতেও লজ্জার হার দেখেছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টাইগাররা।
কিম্বার্লিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো জায়গাটুকুও দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ২৭৮ রা্ন তুললেও কোনো উইকেট না হারিয়েই সেটা টপকে যায় স্বাগতিকরা। ওয়ানডের ইতিহাসে এত বেশি রান করে আর কোনো দল ১০ উইকেটে হারেনি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বদনামটা ঘোচাতে চায় মাশরাফির দল। এই ম্যাচে টাইগারদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছেন তামিম ইকবাল। প্রথম ম্যাচে না খেললেও এই ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকবেন তিনি। বরাবরের মতো লাল-সবুজের দলের ব্যাটিংয়ের শুরুটা করবেন তিনি। আগের ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি করা মুশফিক ছন্দে রয়েছেন। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। ধীরগতির উইকেটে খেলা হবে তাই দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইগারদের কাছ থেকে ভালো ব্যাটিং ডিসপ্লে দেখার আশায় রয়েছে সমর্থকরা।
বাংলাদেশের চিন্তাটা বাড়াচ্ছেন বোলাররা। প্রথম ম্যাচে হাশিম আমলা, ডি ককদের সামনে ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি মাশরাফি-সাকিবরা। উপরন্তু ইনজুরির কারণে সিরিজটা মিস করছেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ম্যাচে একেবারে সাধারণ মানের বল করেছেন তাসকিন আহমেদ-রুবেল হোসেনরা। তবে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন আগের ম্যাচের ভুলগুলো করতে চাইবেন না তাঁরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য ফুরফুরে রয়েছে। টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডেতেও দারুণ খেলে চলছে ফাফ দু প্লেসির দল। হাশিম আমলা, ডি ককসহ অধিনায়ক দু প্লেসি দারুণ ফর্মে রয়েছেন। প্রতিপক্ষের ওপর ভীতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন রাবাদা-তাহিররা। তাই অনেকটাই নির্ভার দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ম্যাচে আরেকটি সহজ জয়ের আশা করছে দেশটি।