আইএস, আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর হুমকি ও বিপদকে পাশে সরিয়ে রেখে নতুন প্রতিরক্ষা নীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রশাসন। নতুন জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল প্রকাশের পর ওয়াশিংটনে এই আভাস দিয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস। প্রতিদ্বন্দ্বী চীন আর রাশিয়ার মতো দেশগুলোকে সতর্ক করে ম্যাটিস জানিয়েছেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ করলে সেদিনই হবে আপনাদের (চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো) দীর্ঘতম ও খারাপ দিন। ২০০১ সালের ট্যুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে মার্কিন প্রতিরক্ষানীতির কেন্দ্রস্থলে চলে আসে সন্ত্রাসবাদ। সেই নীতির আওতায় প্রথমে আফগান যুদ্ধ, পরে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা করে মার্কিন বাহিনী। দুই দশক পরে প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হিসেবে চীন আর রাশিয়ার উত্থানের পর সেই সন্ত্রাসবাদ থেকে সরে আসার ইঙ্গিত মিলছে নতুন প্রতিরক্ষা নীতিতে। জেমস ম্যাটিস মনে করেন, ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে টিকে থাকতে হলে সামরিক খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন হবে বিশাল বিনিয়োগ। এটা শুধু টাকা বিনিয়োগের বিষয় হবে না। কারণ বিগত বছরগুলোতে বিশাল সামরিক ক্ষতির কারণে বিনিয়োগের টাকা কংগ্রেস থেকে পাস করিয়ে আনা কঠিন হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন প্রতিরক্ষা নীতিতে দেখা গেছে, ওবামা প্রশাসনের চিহ্নিত করা সম্ভাব্য বিপদগুলো প্রায় একই রয়ে গেছে। তবে ভিন্নতা এসেছে ক্রমতালিকায়। আগে আল কায়েদা বা আইএসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ছিল মূল কেন্দ্রে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া আর চীনের প্রতি মনোযোগ বাড়ায় নতুন নীতিতে সরে গেছে তারা।