ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানীর ‘স্ত্রী’ নাসরিন সুলতানা।
শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, ওই দিন ভোরের দিকে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করেন নাসরিন। দুপুর ১২টার দিকে তার পরিবার বিষয়টি টের পায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর ধানমণ্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আরাফাত সানীর সঙ্গে নাসরিনের ঝগড়া হওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানান জিয়াউর রহমান।
এদিকে আত্মহত্যার চেষ্টার আগে আরাফাত সানীকে দায়ী করে নাসরিন সুলতানা তার মা-বাবার উদ্দেশে একটি ‘সুইসাইড নোট’ রেখেছিলেন।
নাসরিন তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘আব্বা-মা, আল্লাহর রহমতে দুই হাত জোড় করে তোমাদের অনুরোধ করতেছি, দয়া করে আমাকে হসপিটালে নিও না। আল্লাহর দোহাই লাগে আমাকে মরতে দাও। আমার জন্য অনেক জ্বালা নিসো (সহ্য করেছ), আর নিও না। মরার পর মাটি দিও কিন্তু হসপিটালে নিও না প্লিজ। এত অপমান সহ্য না করে মরে যাওয়া অনেক ভালো। প্লিজ আমাকে মরতে দাও।’
নাসরিন সুলতানা তার ছোট বোন বিথীর উদ্দেশে লেখেন, ‘কফিনের লকের পাসওয়ার্ড (***) কফিনে ও ড্রয়ারের পার্সে সব ফাইল ও কাগজপত্র আছে। মেক সিউর দ্যাট সানীর (নিশ্চিত করো যেন সানির) উচিৎ শাস্তি ও বিচার হয়। ইট ইজ নট সুইসাইড, ইটস অ্যা মার্ডার (এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা)। আমার আজকের এই অবস্থার জন্য শুধু সানী দায়ী। আল্লাহ যাতে ওর বিচার করে। আমার মৃত্যুর জন্য সানী দায়ী।’ নোটের নিচে নাসরিন ইংরেজিতে সই করেছেন।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় ২২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন আরাফাত সানী। মামলাটি করেছিলেন তার স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা দায়ের করেন নাসরিন সুলতানা। টানা ৫৩ দিন কারাগারে থাকার পর ১৫ মার্চ কারাগার থেকে মুক্ত হন সানী। সর্বশেষ আদালত নিজেদের মধ্যে সমঝোতার নির্দেশ দেন। তবে নাসরিন সুলতানা অভিযোগ করে আসছিলেন, সানী তাকে ঠিক মতো সময় দেন না।