শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১৭ই কার্তিক ১৪৩১
Smoking
 
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি করবে বাংলাদেশ
প্রকাশ: ১১:৩৭ am ০৯-০৯-২০১৭ হালনাগাদ: ১১:৪০ am ০৯-০৯-২০১৭
 
 
 


সেনাবাহিনীর হামলা-নির্যাতন-ধর্ষণের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি করবে বাংলাদেশ। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যারা এসেছে সবাইকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত করা হবে।

রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর গত ২৫ অক্টোবর থেকে প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ আর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে সহায়-সম্বল হারানো এসব ‘দেশহীন’ শরণার্থীর ভাষ্যে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, রোহিঙ্গারা আসছেন বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়ে। অনেকে দিনের পর দিন অভুক্ত অবস্থায় দুর্গম পাহাড়-জঙ্গল পেরিয়ে নদী ও সমুদ্র পথ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে অহরহই ঘটছে নৌকাডুবির মতো ঘটনা। দুর্ঘটনার পর ভেসে উঠা লাশের সংখ্যা পাওয়া গেলেও নিখোঁজের সংখ্যা অজানাই থেকে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে এমন দুর্ঘটনায় কক্সবাজারে অন্তত ৯৩ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে যেসব পথ দিয়ে আসছে, তাদের ১৭টি বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে বলে আজ শনিবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) খালিদ মোহাম্মদ এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল জেলা প্রশাসনের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার যারা মিয়ানমার থেকে এসেছে সবাইকে তালিকভুক্ত করা হবে। চাইলেই যাতে তাদের খোঁজ পাওয়া যায় সেজন্য তাদের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে।’

এবার আসা রোহিঙ্গাদের সবাইকে একসঙ্গে রাখা হবে। তাদের জন্য উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে বনবিভাগের পাঁচ হাজার একর জমিতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এডিএম। তিনি আরো জানান, খুব শিগগিরই এ কাজ শুরু হবে।

অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে, তাদের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মোহাম্মদ বলেন, যারা বাইরে যাচ্ছে, তাদেরও এখানে আনার ব্যবস্থা হবে।

গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।

মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ গত ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, মিয়ানমারে সহিংসতা শুরুর পর গত এক সপ্তাহে ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭০ জন ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী’, ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, দুজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ১৪ জন সাধারণ নাগরিক।

মিয়ানমার সরকারের দাবি, ‘বিদ্রোহী সন্ত্রাসীরা’ এখন পর্যন্ত রাখাইনের প্রায় দুই হাজার ৬০০ বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এখনো রাখাইন রাজ্যে থাকা মুসলিমদের মধ্যে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT