সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
বিপিএল
বরিশালকে বিদায় করে প্লে অফের পথে রংপুর
প্রকাশ: ১২:০০ am ০৩-১২-২০১৬ হালনাগাদ: ১০:২৪ am ০৪-১২-২০১৬
 
 
 


রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২৯ রানের পরাজয়ে এবারের বিপিএলের আসর শেষ করলো মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস। বরিশালের বিদায়ী ম্যাচে জয় পাওয়ায় পরের রাউন্ডের জন্য রংপুর রাইডার্স নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখলো।

এ মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে ১১ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। বরিশাল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান নিয়েছে। ১২ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট বুলসদের। ফলে, এটি তাদের টুর্নামেন্টের বিদায়ী ম্যাচও হয়ে গেলো। রংপুর অবশ্য আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। ১১ ম্যাচ খেলে ৬ জয়ে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। সেরা চারে থেকে পরের রাউন্ড খেলতে নিজেদের শেষ ম্যাচ জেতার সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে শেষ দিনের ম্যাচ পর্যন্ত।

টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রংপুর রাইডার্স ১৫৪ রান সংগ্রহ করেছে। পরের রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষীণ আশা থাকা বরিশালকে এই স্কোর টপকে যেতে হতো। কিন্তু, ১০ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ১২৫ রান তোলা বরিশাল।

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৯তম ম্যাচে মাঠে নামে নাঈম ইসলামের রংপুর রাইডার্স এবং মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের দলপতি নাঈম ইসলাম। রংপুরের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন মোহাম্মদ শাহজাদ এবং সৌম্য সরকার।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে সাজঘরে ফেরেন টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ রংপুরের ওপেনার সৌম্য সরকার। শাহরিয়ার নাফিসের হাতে ধরা পড়ার আগে সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ১৭ রান। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ২৬। দলীয় ২৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় রংপুর।

এরপর জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং মোহাম্মদ মিঠুন। এই জুটি থেকে আসে ৭৬ রান। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৮ রান করে রায়াদ এমরিতের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা শাহজাদ। তার ৪০ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার আর একটি ছক্কার মার। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় রংপুর। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ব্যাটিংয়ে এসে দ্রুতই বিদায় নেন। ১৬তম ওভারে শাহরিয়ার নাফিসের তালুবন্দি হন আফ্রিদি। রাব্বির বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩ বলে এক ছক্কায় করেন ৭ রান।

১৭তম ওভারে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। থিসারা পেরেরার বলে তাইজুলের তালুবন্দি হন তিনি। আউট হওয়ার আগে মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। বিদায় নেওয়ার আগে ৪১ বল খেলে মিঠুন একটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান। ১৯তম ওভারে আবারো আঘাত হানেন পেরেরা। ৭ রান করা আনোয়ার আলী উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন। জিয়াউর রহমান ১৭ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৩ রান। লিয়াম ডসন ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

১৫৫ রানের টার্গেটে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে সোহাগ গাজীর বলে বরিশালের প্রথম উইকেটের পতন হয়। ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন রায়াদ এমরিত (১)। দলীয় তৃতীয় ওভারে গাজীর দ্বিতীয় শিকার হন বরিশাল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (১)। চতুর্থ ওভারে জীবন মেন্ডিসকে (১২) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাঈম ইসলাম। দলীয় সপ্তম ওভারে অর্ধশতক আসে বরিশালের। 

নবম ওভারে শহীদ আফ্রিদির বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন দারুণ ব্যাট করতে থাকা ফজলে মাহমুদ। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ডেভিড মালানকে (৩০) উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান আনোয়ার আলী।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে বিদায় নেন থিসারা পেরেরা। ব্যক্তিগত ২৪ রান করেন তিনি। শহীদ আফ্রিদির বলে নাঈম ইসলামের তালুবন্দি হওয়ার আগে এই লঙ্কান তার ১৭ বলের ইনিংসে দুটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় বরিশাল।

ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বরিশালের আশার আলো হয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। তবে, ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলীয় ১০৯ রানের মাথায় বিদায় নেন শাহরিয়ার নাফিস (১৪)। লিয়াম ডসনের বলে তুলে মারতে গিয়ে আরাফাত সানির তালুবন্দি হন তিনি। অষ্টম উইকেট হয়ে ফেরেন ৯ রান করা তাইজুল। ডসনের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে রুবেল হোসেন বোল্ড করেন ১ রান করা মনির হোসেনকে। পরের বলেই বোল্ড করে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে।

১৮.২ ওভারে গুটিয়ে যায় ১২৫ রান তোলা বরিশাল।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT