বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফারিনা আরেফিন যুক্তরাষ্ট্রের হাই স্কুল ফর পারফর্মিং অ্যান্ড ভিজুয়াল আর্টস-এর একজন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি হাউস্টন সেকেন্ড ইয়োথ পয়েটে তার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
হাউস্টনে আফরিনসহ প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের লেখা পাঁচটি কবিতা কমিটিতে জমা দিয়েছিল। কমিটি সবার কবিতা যাচাইয়ের পর পাঁচজনকে নির্বাচন করেন। তাদের ওই কবিতাগুলো সম্পর্কে সাক্ষাতকার নেয়া হয়।
চূড়ান্তভাবে বিজয়ীদের এক বছরের জন্য বই, স্কলারশিপ এবং হাউস্টনের পয়েট লরিয়েটের পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। আফরিন এই বিশাল সম্মাননা অর্জন করেছেন।
আফরিন বাংলাদেশ থেকে তার মা এবং বোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি তার পরিবারকে সহায়তা করতে সেখানকার একটি গ্যাস স্টেশনে কাজ করছেন। আফরিন জানান, তার মা বিশ্বাস করেন মনের দিক থেকে সব বাঙালীই কবি। আর তাই আফরিনের এই সাফল্যে তিনি মোটেও অবাক হননি।
আফরিন আরো জানান, তিনি সবসময়ই খুব অস্বস্তিতে থাকতেন। নিজের জায়গা তৈরি করতে সব সময়ই তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।
তবে লেখালেখির অভ্যাস তাকে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘শব্দের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে বন্ধন তৈরি হওয়ার এই বিষয়টা আমি খুব ভালোবাসি। আমরা যে যেখানেই থাকি আমরা সবাই একত্র হতে পারছি, অনেক কিছু জানতে পারছি। আমি একজন বাঙালী নারী হিসেবে লেখা শুরু করেছি। আমি আমার মত অন্যান্য অভিবাসীদের সম্পর্কে লিখতে চাই। আমি দরিদ্র শিশুদের জীবন সম্পর্কেও লিখতে চাই। ’
আফরিনকে সম্মাননা দেয়ার আগে তিনি তার লেখা কবিতা পাঠ করে শুনিয়েছেন।