যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রথমবারের মত নির্মিত হতে যাচ্ছে স্থায়ী শহীদ মিনার।মহান একুশের ভাষা শহীদদের স্মরণে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজে এ শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন ছিল স্থায়ী শহীদ মিনারের। কিন্তু নানান জটিলতায় সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির আওতাধীন লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজে দীর্ঘদিন চেষ্টার পর সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানে সফল হতে চলেছেন।
ইউনেস্কো কর্তৃক ভাষা শহীদদের অবদানের স্বীকৃতির জন্য ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রোফাইল তৈরি করি। লাগোর্ডিয়া স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে প্রথমে ব্যর্থ হয়েছিলাম। কিন্তু আশা ছাড়িনি। পরবর্তীকালে ছোট ভাই রায়হান মাহমুদ লাগোর্ডিয়া কলেজ স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের গভর্নর নির্বাচত হলে তার কাছে শহীদ মিনার নির্মাণের গুরুত্ব সম্বলিত সেই প্রোফাইল এবং শহীদ মিনারের নকশা তুলে ধরি। রায়হান মাহমুদ স্টুুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে বিলটি নতুন করে প্রস্তাব করেন।
শহীদ মিনার নির্মাণের বিলটি স্টুডেন্ট গর্ভনমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে পেশ করার পর ১২ জন গভর্নরের মধ্যে ৮ জন গভর্নর ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানান এবং গত ২৫ জানুয়ারি বিলটি স্টুডেন্ট গভর্নমেন্টে পাস হয়।
স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যে ৮ প্রতিনিধি প্রস্তাবিত বিলে সম্মতি দিয়েছেন, তারা হলেন, ফজলে রাব্বি, শেখ হাফিজ, জয়ি ফার্নান্ডেজ, ইয়ং জো , ইয়ংগরু জিয়াও, জিয়ায়ন লি ও ইয়াইউ ঝাউ ।
এরই মধ্যে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য খরচ বাবদ ৮ হাজার ডলার স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজের 'ই' বিল্ডিং এবং 'এম' বিল্ডিংয়ের মাঝে খোলা চত্ত্বরে ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের স্থায়ী শহীদ মিনারটি তৈরি হবে বলে জানা গেছে।