মাত্র ১২ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। কিন্তু বৃষ্টি বাগড়ায় ৮ ওভারেই থেমে গেল রংপুর বিভাগের দ্বিতীয় ইনিংস। সমতাতেই শেষ হলো জাতীয় লিগের প্রথম পর্বের এই ম্যাচ।
২৪ রানে এগিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেছিল খুলনা বিভাগ। প্রথম বলেই চমকে দিলেন আল আমিন হোসেন। সায়মন আহমেদকে উইকেটের পেছনে তালুবদ্ধ করলেন এই পেসার। তবে আসল ধাক্কা দিয়েছেন মাশরাফি। নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে নাসিরকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন উইকেটের পেছনে। এবারও বল নুরুল হাসানের গ্লাভসেই। দুই বল পরেই নাসিরের পথ ধরলেন মাহমুদুল হাসান। তিনিও ক্যাচ আউট, জিয়াউর রহমানের হাতে। ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারাল রংপুর। ১ রানের লিড নিতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে তখন সফরকারীরা। দিনের খেলার যে তখনো বাকি ৪৬ ওভার। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি নেমে এল এরপর। পরে বৃষ্টি থামলেও মাঠ আর খেলার উপযুক্ত ছিল না। হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়েছে খুলনা।
এর আগে এনামুল হকের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৪৯৫ রানের বড় স্কোর পেয়েছে খুলনা। ৩৫৬ বলে ১৮ চার ও দুই ছক্কায় ২১৬ রান করে নাসির হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন এই ওপেনার। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ (০ ও ৫) নাসির বোলিংয়ে ৭০ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট।
জাতীয় লিগের অন্য ম্যাচগুলোতে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটিও ড্র হয়েছে প্রকৃতির বাধায়। ঢাকা বিভাগ ও বরিশালের ম্যাচে তো খেলাই হয়েছে মাত্র এক দিন। তবে রাজশাহী প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৯ রানে অলআউট হয়েও জয় বের করে নিয়েছে শেষ দিনে। সিলেটের দেওয়া ২১২ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়েই পেরিয়েছে স্বাগতিক দল।