সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের কুলখানি বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে মেয়র আনিসুল হকের জানাজা নামাজের আগে এ কথা জানান তার একমাত্র ছেলে নাভিদুল হক। তিনি বলেন, কাজের খাতিরে কেউ যদি আমার বাবার ব্যবহারে দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে আপনারা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। বাবার জন্য দোয়া করবেন। শনিবার বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয় বনানী কবরস্থানে। মেয়রের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি বিকেল পাঁচটায় কবরস্থানে এসে পৌঁছায়। এরপর স্বজনদের হাতে ৫টা ১০ মিনিটে কবরে শায়িত হন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেয়র। এর আগে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে আনিসুল হকের মরদেহ বনানীর নিজ বাসা থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হয়। নগরপিতাকে শেষবারের মত এক নজর দেখতে আর্মি স্টেডিয়ামে জনতার ঢল নামে। সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাদ আসর জানাজা হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, স্পিকার শিরীন শারমিনের পক্ষে ক্যাপ্টেন মোশতাক আহমেদ, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, বিএনপির পক্ষে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা শ্রদ্ধা জানান। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী বিমানটি সিলেটে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। দুপুর ১টায় সিলেট থেকে আসা ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৯ জুলাই পারিবারিক কাজে যুক্তরাজ্যে যান আনিসুল হক। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে মারা যান মেয়র আনিসুল হক।