রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে, যাতে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক জায়গায় শিলার আঘাতে ফুটো হয়ে গেছে ঘরের টিনের চালা, ঝড়ো হাওয়ায় ঘর উপড়ানোর পাশাপাশি ঝরে গেছে আমের কুঁড়ি।
শুক্রবার সকালে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী; দুপুরে দিনাজপুর, বিকালে ঢাকা, পাবনা, গাইবান্ধা, সিলেট এবং সন্ধ্যায় যশোর ও মাগুরায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়।
সিলেটে ঝড়ের মধ্যে টিনের চালের আঘাতে এক পথচারী নিহত এবং এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেছে। শিলার আঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা ও দিনাজপুরে। যশোরের অভয়নগরে ঝড়ে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে এক কলেজ ছাত্রীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অপর এক কলেজ ছাত্রী।
উত্তরের জেলাগুলোতে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়া ছাড়াও কোনো কোনো এলাকায় শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে, নষ্ট হয়েছে ফসলের ক্ষেত, ঝড়ে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি-গাছপালা।
কেউ কেউ বলছেন, ঝড়ে এত বড় শিলা পড়তে এর আগে দেখেননি তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টিতে অস্বস্তিকর গরমের রেশ কাটলেও কয়েকদিন পর ফের তাপমাত্রা বাড়বে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর থেকেই ঢাকায় বৈরী আবহাওয়া শুরু হয়। বিকাল ৪টার পরে আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। ঘণ্টারও বেশি সময় হালকা বৃষ্টির মধ্যে বজ্রঝড়ও বয়ে যায়।এই আবহাওয়ার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকায় রূপালী ব্যাংকের একটি নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হয়। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে পরীক্ষার্থীরা দেখতে পারছিলেন না বলে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খান জানিয়েছেন।
ঝড়ে ঢাকার হাজারীবাগে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাসেল শিকদার জানিয়েছেন।
ঢাকার বাইরে নিহতরা হলেন- মাগুরা সদরের ডহরসিংড়া গ্রামের আকরাম হোসেন (৩৫), দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের চৈতাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলী (৫৫), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দশহাল গ্রামের সাবিয়া বেগম এবং উমরপুর গ্রামের শিশু হাসান আহমদ।