রোহিঙ্গাদের জন্য এ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়দানে গৃহিত পদক্ষেপ তুলে ধরে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিদিন ১৪ হাজার ইউনিট খাবার পানি বিতরণ করছে। এছাড়াও তাদের জন্য ১০০টি টিউবওয়েল স্থাপন ও ৫০০ অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রতিদিন ৬৪ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে। ৩৬টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তিনি বলেন, ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার জন্য ১৪ হাজার শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। তাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে ১৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ও প্রতিদিন ৮টি স্থান থেকে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পাশাপাশি ইউএনএইচসিআরও এ কাজে সহযোগিতা করছে। মায়া চৌধুরী বলেন, চাহিদামত বিদেশী আর্থিক ও পণ্য সহযোগিতা আসছে। ১৪টি স্থানে ত্রাণ সামগ্রী রাখার গুদাম করা হয়েছে। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬ দফা প্রস্তাব মেনে মায়ানমারকে অবিলম্বে তার নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। তিনি বলেন, অসহায় এই মানুষগুলোর দুঃখ-দুর্দশা মানবিক সংকট তৈরী করেছে। এ মানবিক সংকটে বিশ্ববাসীকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। মায়ানমারকে চাপ দিতে হবে। এদেরকে বাঙ্গালী বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর কোন সুযোগ নেই। সেনাবাহিনীর ত্রাণ কাজে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী বন্যা সাইক্লোনসহ সকল দুর্যোগেই সহযোগিতা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো নিরাপদ করতে সেনাবাহিনী চট্রগ্রাম নৌ ও বিমানবন্দর থেকে ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে পৌছে দিচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী সার্বিক সমন্বয় করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২১ জন কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের খাবার, বাসস্থান নির্মাণ, পয়ো:নিস্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাসস।