যশোরের বেনাপোলে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন ভবনে কাস্টমস ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি ও ভবন ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেছে কাস্টসম হাউসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বেনাপোল কাস্টসম হাউসের সামনে এই কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ফলে বাংলাদেশে-ভারতের মধ্যে ৩ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। পরে কাস্টমস সদস্যরা কাজে যোগ দিলে আবার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।
বেনাপোল কাস্টমস অফিসার অ্যাসোশিয়েশনের জানা যায়, সরকারি অফিস ভাংচুর ও কাস্টমস অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ওসি ওমর শরীফসহ পাঁচ পুলিশের অপসারণের দাবিতে কালোব্যাজ ধারণ, কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। এই হামলার সুষ্ঠু বিচার না হলে দেশজুড়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার সাঈদ আহম্মেদ রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুনসহ বেনাপোল কাস্টমস হাউজের তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ হামলার ঘটনায় নিন্দা ও একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোশিয়েশন, বাংলাদেশে কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশন, বাংলাদেশ কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট তৃতীয় শ্রেণি নির্বাহী কর্মচারী সমিতি।
এর আগে গেলো বুধবার সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের দুইজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে কাস্টমসে যান। এসময় ওই যাত্রীর সঙ্গে মালামাল বেশি থাকায় তাকে আটক করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ ও কাস্টমস সদস্যদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে অন্যান্য সদস্যরা ছুটে এসে উত্তেজিত হয়ে ভবনের আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাংচুর করে। আহত হন কয়েকজন।