শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ান ডে তে তামিম ইকবাল এর ১০০ রান। এটা তামিম এর ব্যাক্তিগত ৮ম ১০০ রান ওয়ান ডেতে।
ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করছে টাইগার শিবির।
ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছিল তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের। তবে বেশিদূর আগাতে পারেননি সৌম্য। ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় সুরঙ্গ লাকমলের বলে উইকেটের পেছনে চান্দিমালের গ্লাভসে ক্যাচ দেন তিনি। ১৩ বলের ইনিংসে সৌম্য হাঁকিয়েছেন দুটি চার।
লাকমলের ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে দুই রান নিয়ে নতুন কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে তিন ফরম্যাটে স্পর্শ করেছেন দশ হাজার রানের মাইলফলক। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে তামিমের মোট রান ছিল ৯৯৯৯।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুরন্ত ছিল তামিম ও সাব্বির রহমান। ১৬.৪ ওভারের মাথায় সান্দাকানের বলে এলবিডব্লিউর জোড়ালো আবেদনে সাব্বিরকে আউট দেন ইংলিশ আম্পায়ার। তবে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সাব্বির। পরে দেখা যায় সাব্বিরের ধারণাই সঠিক্।
এলবিডব্লিউর ধারের কাছেই ছিল না তা। বল ব্যাটে লেগে চলে গেছে। পায়ের খুব কাছাকাছি থাকায় মনে হয়েছিল লেগবিফোর। তবে রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যান সাব্বির। সাব্বিরের তখন ব্যক্তিগত রান ৪২।
এরপর কাঙ্খিত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করেন সাব্বির। তারপরই ছন্দপতন। তামিম-সাব্বিরের ৯০ রানের জুটি ভাঙেন গুনারত্নে। ২১.৩ ওভারে গুণারত্নের বলে সাব্বির ক্যাচ দেন উপল থারাঙ্গার হাতে। যদিও ক্যাচটি ছিল অসাধারণ। ৫৬ বলে ১০ চারে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির।
সাব্বিরের বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে জুটি বাধেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৩তম ওভারের সান্দাকানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন মুশফিক। ২ বলে এক রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৩ উইকেটে ১২০।
এরপর সাকিবকে নিয়ে আগাতে থাকেন তামিম ইকবাল। এরই মধ্যে পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫.৪ ওভারে তিন উইকেটে ১৯৪ রান। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। শতকের পথে রয়েছেন হার্ড হিটার তামিম ইকবাল। ৮৭ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। অপেক্ষায় আছেন অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরির জন্য।
আজ বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের।
তিন পেসার ও দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। পেস অ্যাটাকে মাশরাফির সঙ্গী তাসকিন ও মুস্তাফিজ। স্পিনে সাকিবের সাগরেদ অভিষিক্ত মিরাজ।
বাংলাদেশ দল:
১. তামিম ইকবাল ২. সৌম্য সরকার ৩. সাব্বির রহমান ৪. মুশফিকুর রহিম ৫. সাকিব আল হাসান ৬. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭. মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৮. মেহেদি হাসান মিরাজ ৯. মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক) ১০. তাসকিন আহমেদ ১১. মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা দল:
১. ধানুসকা গুণাথিলাকা ২. উপুল থারাঙ্গা ৩. কুশল মেন্ডিস ৪. দিনেশ চান্ডিমাল ৫. আসেলা গুণারত্মে ৬. সতিথ পাথিরানা ৭. তিসারো পেরেরা ৮. সুরঙ্গা লাকমল ৯. লক্ষণ সান্দাকা ১০. মিলিন্দা সিরিওয়ারদানা ১১. লাহিরু কুমারা।