প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সঠিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সমন্বিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিভিত্তিক ব্যবসা ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে। সঠিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে ১৫ অক্টোবর দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল ১৬ অক্টোবর ২০১৭ বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য-নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ সমস্যায় নিপতিত হয়ে মানুষ পরিত্রাণের আশায় প্রতিনিয়ত স্থানান্তরিত হচ্ছেন। এ অস্থিরতা বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন হলেও বাংলাদেশের জন্য এটি বর্তমানে গভীর সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিগত মাসাধিককালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছেন।
তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের এ দেশে আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে খরা, অতিবৃষ্টি, জলোচ্ছাস এবং অসময়ে বন্যার মত দুর্যোগের মাত্রা এবং আধিক্য ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমাদের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এসব সমস্যা মোকাবেলায় আমরা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কৃষির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমেই গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফসলের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বিগত এক দশকে আমাদের খাদ্য শষ্য উৎপাদন তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শাকসবজি উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ গুণ। মিঠা পানির মাছ চাষে আমরা পৃথিবীতে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছি। তিনি বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৭ এর সার্বিক সাফলতা কামনা করেন।
খবর বাসস।