মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক এনটিভি ও যুগান্তর প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের সাথে রোববার দুপুরে দুর্ব্যবহার করেছে ঝিনাইদহ জেলা কমানডেন্ট আসহান উল্লাহ। এ নিয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে জেলা আনসার ও ভিডিপি কমানডেন্ট নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেন। জানা গেছে, পুঁজামন্ডপগুলোতে দেওয়া কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি) অনুযায়ী ৩১৮ জন আনসার সদস্যদের ডিউটি দেখিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা কমানডেন্ট আসহান উল্লাহ। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তথ্য ভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়। রোববার দুপুরে এনটিভি ও যুগান্তর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও তার ক্যামেরা পার্সন সাফওয়ান আব্দুল্লাহ অনিককে সাথে নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা কমানডেন্ট আসহান উল্লাহ’র কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি তার গার্ড দিয়ে বাধা প্রদানের চেষ্টা করেন ও অসৌজন্য আচারণ করেন। কক্ষে প্রবেশের পর ক্যামেরা পার্সন অনিককে ধমক দিয়ে বের করে দেন।
প্রতিবাদ জানালে এনটিভি ও যুগান্তর প্রতিনিধি মিজানুর রহমানকেও বের করে দিতে বাধ্য হবেন বলে চরম ঐদ্ধত্য দেখান। জেলা কমানডেন্ট আসহান উল্লাহর এ ধরণের অসৌজন্য মুলক আচরণের খবর পেয়ে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হানের নেতৃত্বে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা প্রেসক্লাব থেকে ছুটে যান জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসে। সেখানে জেলা কমানডেন্ট আসহান উল্লাহর ব্যবহারের প্রতিবাদ জানান সাংবাদিকরা। অফিসের বাইরে অবস্থান নেন প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক। এক পর্যায়ে প্রেসক্লাব সভাপতি ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক এম সাইফুল মাবুদ, নিজাম জোয়ারদার বাবলু ও আজাদ রহমানের সাথে সমঝোতা বৈঠকে বসেন জেলা কমানডেন্ট আসহান উল্লাহ। সেখানেই সিনিয়র সাংবাদিক এনটিভি ও যুগান্তর প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের কাছে তার ব্যবহারের জন্য ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেন। জেলা কমানডেন্ট এর অফিস থেকে বেরিয়ে এসে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার প্রতিনিধি নিজাম জোয়ারদার বাবলু বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের পুরো ঘটনা ব্রিফ করেন। তারা জানান, জেলা কমানডেন্ট আসহান উল্লাহ এমন দুর্ব্যবহারে অনুতপ্ত ও সাংবাদিকদের সাথে ক্ষমা চেয়েছেন।