প্রায় ১১ বছর পর বাংলাদেশে খেলতে আসা অস্ট্রলিয়া ক্রিকেট দলকে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ২০ রানে পরাজিত করে ২ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে রইলো।
২০০৬ সালে সবশেষ রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্টে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার অসিদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে জয়ের মধ্য দিয়ে যেন প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (৫) বোল্ড করে দুই ইনিংসেই পাঁচ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করেন সাকিব আল হাসান। অষ্টম উইকেট হারায় কোণঠাসা অস্ট্রেলিয়া। প্রতিরোধ গড়ে তোলা কামিন্স-লায়নের নবম উইকেট জুটি (২৯) ভেঙে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন নাথান লায়ন (১২)।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় অজিরা। বুধবার (৩০ আগস্ট) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে স্মিথ-ওয়ার্নার জুটি (১৩০) ভেঙে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব। ডেভিড ওয়ার্নারকে (১১২) এলডিব্লুর ফাঁদে ফেলে স্বস্তি ফেরান বাংলাদেশ শিবিরে। সাকিবের ঘূর্ণিতে স্টিভেন স্মিথও (৩৭) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়েন অজি অধিনায়ক।
পিটার হ্যান্ডসকম্বকে (১৫) ফিরিয়ে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান তাইজুল ইসলাম। স্লিপে প্রথম চান্সে ক্যাচ মিস করলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় শূন্যে থাকা বল তালুবন্দি করে সতীর্থ উদযাপনের মধ্যমণি বনে যান সৌম্য। এরপর অজি ব্যাটিং লাইনআপে আবারো সাকিবের আঘাত। এলবিডব্লু হয়ে তার চতুর্থ শিকারে পরিণত হন ম্যাথু ওয়েড (৪)। তাইজুলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অ্যাশ্টন অ্যাগার (২)।
এর আগে দুই উইকেটে ১০২ রান নিয়ে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে সফরকারীরা। টার্গেট ২৬৫। নতুন জীবন পেয়ে উইকেটে থিতু হয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্মিথ। ২৮ রানে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাঠ ছাড়েন দু’জন। ওয়ার্নার ৭৫ ও স্মিথ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ২৭ রানের মাথায় আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান (৪৫) সংগ্রাহক ওপেনার ম্যাট রেনশকে (৫) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ১ রান যোগ হতেই উসমান খাজাকে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দুই ইনিংসেই (৭১ ও ৭৮) সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড থাকায় অজিদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৬৫। তামিম ও সাকিবের (৮৪) ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৬০ রানের জবাবে তারা ২১৭ রানে গুটিয়ে যায়। ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো সাকিব একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট।